মো আব্দুল ওয়াহিদ,
জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ থেকে :-
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আষাঢ়কান্দি ইউনিয়নের বড়ফেচী এলাকায় সাহেরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
বাদী সাহেরুল ইসলাম আদালতে মারপিট, ক্ষতি সাধন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একই এলাকার কামরুল(৩২) পিতা ছুরত মিয়া, জুবেল মিয়া (৩৫) পিতা হাসন আলী, বাবুল (৩০) পিতা মন দাস গং ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩-১০ ২০২৫ ইংরেজি রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় বিবাদীগণ রামদা, ডেগার ও সুলফি হাতে নিয়া বাদীর কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এবং ইতিপূর্বে তার কাছ থেকে বিবাদীগণ চাঁদা আদায় করেছে। বাদী দীর্ঘদিন যাবত বাজার এর দক্ষিণ পাশে কুশিয়ারা নদীর উত্তর পারে তাকিয়া নদীর তীরে খাটাদিয়া দল লাগাইয়া ও বিভিন্নভাবে নদীতে মাছ ধরিয়া জীবিত অর্জন করে থাকেন। বর্তমানে নদীটি উন্মুক্ত থাকায় প্রায় ৮০/৯০ হাজার টাকা খরচ করে দল লাগানোর পর বিবাদীগন ১(এক) লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ।চাঁদার টাকা না দেওয়ায় কাটা (দলে) হাত দিলে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে। এরপর থেকে আমি কুশিয়ারা নদীতে আমার জাল ফাটা দল নষ্ট হয়ে প্রায় ৮০/৯০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়। কিন্তু তারপরও চাদার টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করি। বিবাদীগন ক্ষিপ্ত হইয়া আমার উপর অত্যাচারের স্টিম রুলার চালায়। বিবাদীগন চাঁদা না পাইয়া আমার উপর ও আমার পরিবারের উপর প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা চালায়।এতে আমি ও আমার পরিবার মারাত্মক আহত হইয়া আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা নং সি,আর ৩৬২/২০২৫ ইং মামলাটি আদালত জগন্নাথপুর থানাকে প্রতিবেদনের জন্য প্রেরণ করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন হয়েছে।।