স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী। থানায় অভিযোগ দায়ের।

প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৩, ২০২৫, ১০:১২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৩১, ২০২৫, ৪:০৭ পি.এম

স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী। থানায় অভিযোগ দায়ের।

বিশেষ প্রতিনিধ :-
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনোয়ারা বেগমের স্বামী মুজাক্কির আলী।
প্রবাসে থেকে আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একখানা লিখিত অভিযোগ করেন।
ইংল্যান্ড প্রবাসী আনোয়ারা বেগমের স্বামী মুজাক্কির আলী বাংলাদেশে এসে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এমন অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীর ভাই আলী আহমদ।
গত ৩০ মেয় (বৃহস্পতিবার) এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় দায়ের করেন ।
আনোয়ারা বেগম উপস্থিত না থাকায় তার ভাই আলী আহমদবাদী হয়ে মুজাক্কির আলীকে প্রধান আসামি করে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মুজাক্কির আলী ও আলী আহমদ আপন চাচাতো ভাই। উভয় ই একই বাড়ির বাসিন্দা। উভয়ই জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের গ্রামের বাসিন্দা।
আলী আহমদ অভিযোগ ে উল্লেখ করেন তার ভুল আনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন ।
তিনির স্বামী মুজাক্কির আলী (৭০) কিছুদিন পূর্বে দেশে ফিরে তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের চানপুর চক গ্রামের আব্দুল কালাম ও হাসিনা বেগমের মেয়ে সীমা বেগম ৩২ কে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
বিষয়টি জানতে পেরে আলিয়া মাদ সীমা বেগমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তারা কোন ধরনের কর্ণপাত না করায় তিনি বিষয়টি তার বোনকে জানালে আনোয়ারা বেগম তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এরপর গত ত্রিশ মে বিকেল চারটার দিকে চানপুর চক গ্রামের আব্দুল কালামের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন শুরু হলে আলী আহমদ সাক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে বিয়ে টেকানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় বিবাদী বাদীকে হুমকি প্রদর্শন করে বলেন, বিয়েতে বাধা প্রদান করলে হত্যা করে লা শ ঘুম করে ফেলা হবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় এনে আলীয়াম তার প্রবাসী বোনের অনুরোধে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন বিয়ে ঠেকানো আমাদের কাজ নয় এটা আদালতের কাজ। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান আছে।