সুনামগঞ্জ সদরের দুই সন্তানের জনক অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে গ্রামের সহজ সরল তরুণী।
স্টাফ রিপোর্টার :-
সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানা ও উপজেলার বাসিন্দা, যৌতুক মামলার আসামি দুই সন্তানের জনক মোসাদ্দেক হোসেন রুবেল। সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পৌর সহরের পশ্চিম তেঘরিয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা কাবিন দিয়ে গত ১৮/০২/২০২৪ইং তারিখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার আমরিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের সর্ব কনিষ্ঠ মেয়ে লোবনা আক্তার কে।
লোবনা আক্তারের কোন ভাই নেই, সাত বোন এর মধ্যে তিনি সকল ছোট।
বিয়ের পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে ও ব্যবসার কথা বলে লোবনা আক্তারের কাছ থেকে প্রায় ২ লক্ষা দিক টাকা হাতিয়ে নেয় মোছাদ্দেক।
তার প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে লোকনা বেগম বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
আসামি মোছাদ্দেক বাদিনীকে হয়রানির উদ্দেশ্যে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে বলে লোবনা আক্তার দাবি করেন।
যৌতুক মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে সে ও তার স্ত্রীর অব্যাহত হুমকিতে বাদিনি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছেন বলে বাদিনী মামলায় উল্লেখ করেন।
আসামি মোছাদ্দেক হোসেন রাহুল যৌতুক মামলার পর বাদীনির বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে লোবনা আক্তার উল্লেখ করেন।
মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদিনী লোবনা আক্তার কে মামলা তুলে নিতে হুমকি সহ নানা চাপ প্রয়োগ করে আসছে মোসাদ্দেক ও তার লোকজন।
লোবনা আক্তার মামলা তুলতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে চুলে ধরে মারপিট করে আহত করে। পরে আহত লোবনা আক্তার শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা নেন।
এ বিষয়ে শান্তি গঞ্জ থানায় লোবনা আক্তার বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের ও সাধারণ ডায়েরি করেন।এবং সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদিনী লোবনা আক্তারকে, আসামি ও তার স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আসামি ও তার স্ত্রী সহ আত্মীয় স্বজন কর্তৃক যেকোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন লোবনা।
যৌতুক ও প্রতারণা মামলার আসামি মোছাদ্দেক দীর্ঘদিন ধরে ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভ হিসাবে কাজ করে আসছিল । এ বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেন রাহুল এর মুঠো ফোনে তার সাথে বার বার যোগাযোগ করলে তিনির প্রথম স্ত্রী ফোন রিসিভ করায় তাকে পাওয়া যায়নি।