শামীম আহমদ,
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ও কাউন্সিলর কামাল হোসেন কর্তৃক যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে বিভিন্নভাবে হয়রাণি ও মালিকানা ভূমির উপর জোরপূর্বক ড্রেন নির্মানের অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর সি/এ মার্কেটস্থ কামাল এন্ড আকমল কমপ্লেক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী (হবিবপুর দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল নাহার। তথ্য অনুসন্ধানে, প্রবাসীর বক্তব্যে ও অভিযোগে প্রকাশ, তিনির মালিকানা ভূমিতে নির্মিত পাকা পিলার গত ৯ জানুয়ারী সোমবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের সময় জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন কোন ধরনের নোটিশ না দিয়ে জোড় পূর্বক তার মালিকানাধীন ভূমি থেকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে নিজে উপস্থিত হয়ে ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেনসহ তাদের লোকজন দিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা ৩টি পাঁকা পিলার ভেঙ্গে মালামাল ও শ্রমিকদের নিমার্ণ কাজের যন্ত্রাংশ নিয়ে যান।
কাউন্সিলর কামাল হোসেন উক্ত ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর না হলেও সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে তিনি প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আমাকে প্রানে হত্যার হুমকি সহ বাসায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরা ভাংচুরের হুমকি দেন।
তিনি আরো বলেন, পৌরসভা কর্তৃক তার মালিকানাধীন ভূমির উপর জোড়পূর্বক ড্রেন নিমার্ণ করতে চাইলে তিনি ২০২১ সুনামগঞ্জ আদালতে সত্ব মামলা ২২১-২৩৬/২০২১ ইং দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর আদালত কাজ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
উক্ত নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে তড়িঘড়ি করে দিন রাতে ড্রেনে কাজ করানো হয়।
যা আদালত অবমাননার সামিল। বিবাদী পক্ষ আদালতে কোন ধরনের প্রমাণ বা জবাব না দেওয়ায় গত
২০২২ সালের ১১ মে মাননীয় আদালত মৌজা ম্যাপ রেকর্ড পত্র দীর্ঘ পর্যালোচনা করে একতরফা ভাবে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ও আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন,২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১টায় মেয়র আক্তার হোসেনের নির্দেশে স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দকে দিয়ে ড্রেনের স্টীলের ১০টি স্লেপ ও ৬০ ফুট লম্বা নেট তুলে নেওয়া হয়।
১০ মাস পর আবারো আমার ভূমির উপর থাকা তিনটি পাকা পিলার ভেঁঙ্গে ফেলা হয়। যাহা রেকর্ডপত্র ও ম্যাপ-নকশা পর্যালোচনা করলে সঠিক মালিকানা প্রকাশ পাইবে।
উল্লিখিত ভাংচুরের ঘটনা আমার বাসার সিসি টিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত আছে ।
পূর্বের ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দকে আসামী করে আদালতে মামলা করা হলে মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল নাহার উল্লেখ করেন, তিনি তার বাসার তৃতীয় তলায় ছাদ ঢালাই’র কাজ করার জন্য মেয়র মহোদয়ের নিকট আবেদন করলে আবেদনটি গ্রহন না করে তিনি ফেরত পাঠিয়ে দেন।
নিরুপায় হয়ে ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় এর নিকট আমি আবেদন করলে জেলা প্রশাসক মহোদয় অনুমতি প্রদানের জন্য মেয়র মহোদয়কে নির্দেশ প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশের পরও মেয়র আমাকে অনুমতি দেননি।
এছাড়া ও ২০২২ সালের ২৭ডিসেম্বর মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মহোদয়ের সুপারিশকৃত একটি কপি পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট নিয়ে গেলে তাতে ও কোন কাজ হয়নি।
বর্তমানে পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ও কাউন্সিলর কামাল হোসেন কর্তৃক আমি বিভিন্নভাবে হয়রাণীর শিকার হচ্ছি।
তিনি এসব হয়রাণী থেকে রক্ষা সহ ন্যায় বিচারের স্বার্থে তার মালিকানাধীন ভূমি উদ্ধারে জগন্নাথপুরে কর্মরত ইলেকট্রনিক্স,প্রিন্ট, অনলাইন মিডিয়ার সকল সাংবাদিকদের ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। বিষয়ে জানতে মেয়র আক্তার হোসেন ও কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ও জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাস্তা থেকে পিলার উপসরন করা হয়েছে। হুমকির বিষয়টি মেয়র ও কাউন্সিলর অস্বীকার করেন।